বসন্ত এলো এলো এলোরে...

[[[শীতকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়েই বসন্ত বরণে চলবে নানা আয়োজন। শীত চলে যাবে রিক্ত হস্তে, আর বসন্ত আসবে ফুলের ডালা সাজিয়ে। বাসন্তী ফুলের পরশ আর সৌরভে কেটে যাবে শীতের জরা-জীর্ণতা। বসন্ত মানেই পূর্ণতা। বসন্ত মানেই নতুন প্রাণের কলরব। বসন্ত মানেই একে অপরের হাত ধরে হাঁটা। মিলনের এ ঋতু বাসন্তী রঙে সাজায় মনকে, মানুষকে করে আনমনা। বাঙ্গালীর ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে বিশেষ দিনগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ।]]]
বসন্ত ষড়ঋতুর শেষ ঋতু। ফাল্গুন এবং চৈত্র মাস মিলে হয় এই ঋতুরাজ বসন্ত। বসন্ত ঋতুর শুরুশীত চলে যাবার পর এবং গ্রীষ্ম আসার আগে। গ্রীষ্মমন্ডলীয় এলাকায় তাপমাত্রা বাড়তে থাকে কারণ পৃথিবী সূর্যের দিকে হেলে থাকে। পৃথিবীর অনেক প্রান্তে এই ঋতুতে ফুল ফুটে, নতুন গাছের পাতা গজায়, নতুন গাছের জন্ম হয়। এই সময় অনেক পশুপাখি মিলন ঘটায় এবং বাচ্চার জন্ম দেয়। আবার পৃথিবীর অনেক জায়গায় এই সময় বৃষ্টিও হয়। এর ফলে গাছপালা বেড়ে উঠে, ফুল ও ফলের পরবর্তী বেড়ে ওঠায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। কবি বেগম সুফিয়া কামাল বসন্তের আবেদনকে এভাবেই তুলে ধরেছেন। “হে কবি! নীরব কেন- ফাগুন যে এসেছে ধরায়, বসন্তে বরিয়া তুমি লবে না কি তব বন্দনায়?” আর কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক/ আজ বসন্ত’। সত্যিই আজ পয়লা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। শীতের রিক্ততা ভুলিয়ে আবহমান বাংলার প্রকৃতিতে আজ ফাগুনের ছোঁয়া, আগুনরাঙা বসন্তের সুর। বসন্তের আমোদনে ফাগুনের ঝিরিঝিরি হাওয়া, রক্তিম পলাশ, শিমুল, কাঞ্চন পারিজাত, মাধবী, গামারী আর মৃদু গাঁদার ছোট ছোট ফুলের বর্ণিল রূপে চোখ জুড়াবে। বোটানিক্যাল গার্ডেন, রমনা পার্ক, বলধা গার্ডেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ধানমন্ডি লেক, বনানী লেক, মিন্টো রোড, হেয়ার রোড, চারুকলার পেছনের সবুজ প্রাঙ্গণ ফুলে ফুলে বর্ণিল, উচ্ছল-উজ্জ্বল হয়ে উঠে ফাল্গুন এলে বাসন্তি হাওয়ায়। ২২ বছর আগে বঙ্গাব্দ ১৪০১ সাল থেকে প্রথম ‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপন করার রীতি চালু হয়। সেই থেকে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদ্যাপন পরিষদ বসন্ত উৎসব আয়োজন করে আসছে। প্রতি বছরের ন্যায় বসন্ত উৎসবের অনুষ্ঠানমালায় কিছুটা ভিন্নতা আনা হয়। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। বসন্তের নাচ, গান ও কবিতার পাশাপাশি প্রতিবাদী নাচ, গান ও আবৃত্তিরও আয়োজন করেছে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ। আজ চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় সুর মূর্ছনা দিয়ে শুরু হবে বসন্ত আবাহনের দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথমভাগের কর্মসূচি। এরপর থাকবে বসন্ত শোভাযাত্রা, আবীর ও ফুলের প্রীতিবন্ধনীর পাশাপাশি থাকবে নাচ ও গানের আয়োজন।
যেকোন ঋতু কিংবা বিশেষ দিনে দোলা দিতে থাকে বাঙ্গালীর মনে। তাই দুঃখ কষ্টকে পাত্তা না দিয়ে বাঙ্গালীর সব সময় এগিয়ে যায় এসব আনন্দের দিনগুলোতে। তাই বসন্তের সুবার্তাই প্রথম সকালে বাসন্তী রং শাড়ি, কপালে টিপ, হাতে চুড়ি, পায়ে নূপুর, খোঁপায় ফুল জড়িয়ে বেরিয়ে পড়বে সব বয়সী বাঙ্গালীরা। বিশেষ করে তরুণীর দল চোখে পড়ার মতো। অন্যদিকে পাঞ্জাবি, ফতুয়া পরা তরুণরাও সঙ্গী হবে বসন্ত বরণের বিভিন্ন আয়োজনে। এদিনেই অসংখ্য রমনী বাসন্তী রঙে রাঙিয়ে তোলে গ্রাম-বাংলার পাশাপাশি সাড়ে চারশ বছরের ঢাকার রাজপথ, পার্ক, বইমেলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুশোভিত সবুজ চত্বরসহ পুরো নগরী। কচি পাতায় আলোর নাচনের মতোই বাঙালির মনেও লাগবে দোলা। প্রাণের টানে, আর প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে মন হয়ে ওঠে উত্তাল, বাঁধনহারা। বসন্ত নিয়ে যেনো তরুণদের উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। কোকিলের কুহুতান, দখিনা হাওয়া, ঝরা পাতার শুকনো নুপুরের নিক্কন, প্রকৃতির মিলন সবই এ বসন্তেই। আবাল-বৃদ্ধা, তরুণ-তরুণী বসন্ত উম্মাদনায় আজকে মেতে উঠবে। শীতকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়েই বসন্ত বরণে চলবে ধুম আয়োজন। শীত চলে যাবে রিক্ত হস্তে, আর বসন্ত আসবে ফুলের ডালা সাজিয়ে। বাসন্তী ফুলের পরশ আর সৌরভে কেটে যাবে শীতের জরা-জীর্ণতা। বসন্ত মানেই পূর্ণতা। বসন্ত মানেই নতুন প্রাণের কলরব। বসন্ত মানেই একে অপরের হাত ধরে হাঁটা। মিলনের এ ঋতু বাসন্তী রঙে সাজায় মনকে, মানুষকে করে আনমনা। বাঙ্গালীর ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে বিশেষ দিনগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজকের দিনটিতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে’ কবিতা দিয়ে আবারও মনে করে দিলাম বাংলার প্রতিটি ঋতু প্রেমীদেরকে : তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে/ কোরো না বিড়ম্বিত তারে।/আজি খুলিয়ো হৃদয়দল খুলিয়ো,/ আজি ভুলিয়ো আপনপর ভুলিয়ো,/ এই সংগীত-মুখরিত গগনে/ তব গন্ধ তরঙ্গিয়া তুলিয়ো। / এই বাহির ভুবনে দিশা হারায়ে/ দিয়ো ছড়ায়ে মাধুরী ভারে ভারে।/ অতি নিবিড় বেদনা বনমাঝে রে/ আজি পল্লবে পল্লবে বাজে রে--/ দূরে গগনে কাহার পথ চাহিয়া/ আজি ব্যাকুল বসুন্ধরা সাজে রে।/ মোর পরানে দখিন বায়ু লাগিছে,/কারে দ্বারে দ্বারে কর হানি মাগিছে,/এই সৌরভবিহ্বল রজনী
কার চরণে ধরণীতলে জাগিছে।/ ওগো সুন্দর, বল্লভ, কান্ত,/ তব গম্ভীর আহ্বান কারে।
- ভাষা শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর গভীর শ্রদ্ধা
- রাসায়নিক সার ব্যবহার ও লবণাক্ততা জমি চাষাবাদের অযোগ্য
- কালুখালী উপজেলা নির্বাচন : আ.লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী জুলফিকার আলী
- উজিরপুরে গভীর নলকূপে গ্যাসের সন্ধান
- শহীদ মিনার নেই টাঙ্গাইলের ১৮৮২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
- দুস্থদের কম্বল উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনে!
- অমর একুশে শহীদদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা
- ‘একুশ’ বলে দেয় বর্ণমালার কথা
- একুশ মানে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো
- ‘ঘুমানোর সময়ই ছিল না আমার’
- একুশের নাটক
- প্রিয়াঙ্কার কণ্ঠে একুশের গান
- যে বিশেষ চিহ্নগুলো বলে দেবে দাম্পত্য জীবন কেমন যাবে
- জেনে নিন লেবু-পানির উপকারিতা
- প্রয়োজন নেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার, টাকা হলেই আসল সনদ!
- বলিরেখা পড়া ঠেকিয়ে রাখবেন যেভাবে
- অ্যালোভেরা জুস খেলে মিলবে যেসব উপকার
- হেরেও জিতে গেল বিএনপি!
- মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণে নতুন সিন্ডিকেট
- বিশ্ব ইজতেমা : আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করবেন কোন মাওলানা
- জিন্স প্যান্ট পরিধানে হারাতে পারেন দাম্পত্য সুখ!
- নতুন গাড়ি ফিরিয়ে দিচ্ছেন মন্ত্রীরা
- আইপিএলের ১৪ ম্যাচ বাংলাদেশে
- ফ্রিল্যান্সাররা বাদে কেউ কোচিং করাতে পারবেন না : হাইকোর্ট