মাইদুলের মুক্তির দাবিতে ৫০ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বিবৃতি

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা লক্ষ্য করেছি, শিক্ষার্থীদের একটি যৌক্তিক আন্দোলনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করাকে অন্যায় হিসেবে সনাক্ত করা হয়েছে এবং তার শাস্তিস্বরূপ একজন শিক্ষককে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অথচ একটা সময়ে এই সমাজে শিক্ষকদের এমন প্রতিবাদী ভূমিকাকে যথোচিত এবং গৌরবজনক হিসেবেই গণ্য করা হতো। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মতভিন্নতার কারণে কাউকে হুমকি দেয়া হবে, তাকে তার কাজের জায়গায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে, তার চাকুরিচ্যুতির দাবি উঠবে--এমনটা মেনে নেয়া যায় না।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এটি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় উল্লেখ করে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে ভিন্নমতকে দমনের, ভয়ভীতির দেখানোর, নিপীড়নমূলক যে চর্চা শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত ঘটনাটি তারই অংশমাত্র। আজকের বাংলাদেশে দাগী এমনকি খুনের আসামীর জন্য রাষ্ট্রপতি বিশেষ ক্ষমার আইনটি প্রয়োগ করেন, অথচ একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে মত প্রকাশের জন্য জেলে যেতে হয়। আমরা এই হুমকি এবং জেলজুলুমের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি।
এতবড় ঘটনার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর কোনো নড়াচড়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে না উল্লেখ করে বলা হয়, একদিকে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের মাস্তানতন্ত্র, অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় আইনী কাঠামোর নিবর্তনমূলক প্রয়োগ এবং সার্বিকভাবে সমাজে ভয় ও তোষণের রাজনীতির সম্প্রসারণ আমাদের ক্ষমতার চোখে চোখ রেখে সাদাকে সাদা বলবার সাহসটুকুও আমরা হারাতে বসেছি। আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মচারী এবং দেশের আপামর জনসাধারণকে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে আহ্বান জানাই।
সরকারের কাছে দাবি জানাই, দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিবর্তনমূলক জেলজুলুম থেকে মাইদুল ইসলামকে সসম্মানে মুক্তি দেওয়া এবং তাকে হুমকিপ্রদানকারীদের সনাক্ত করে অতিসত্ত্বর বিচার এবং শাস্তির আওতায় আনা হোক।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, রোবায়েত ফেরদৌস, মোহাম্মদ তানজীম উদ্দিন খান, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আনু মুহাম্মদ, মির্জা তাসলিমা সুলতানা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিকুন্নবী সামাদী, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সৌভিক রেজা,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গোলাম হোসেন হাবীব, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌম্য সরকার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পক্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে গত ২৩ জুলাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে হাটহাজারি থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইফতেখারুল ইসলাম। কোট আন্দোলনকারীদের পক্ষে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় মাইদুল ইসলাম এবং যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক খ. আলী আর রাজীকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ছাত্রলীগ।
এরপর আইসিটি আইনে করা মামলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। সোমবার চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন এ আদেশ দেন। ওই আদেশের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়। মাইদুল ইসলামের আইনজীবী ভুলন লাল ভৌমিক বলেন, উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিনে ছিলেন তিনি। “উচ্চ আদালতের সেই জামিন আদেশ অনুসারে সোমবার নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করা হয়। আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।”
- রঙিন মাছ চাষে স্বাবলম্বী সাইফুল
- বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাচন লড়াই হবে প্রবীণ ও নবীনের
- খোলা টয়লেটের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
- এসএ সরকারি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
- ৫০ বছর পর শহীদ মিনার পেল শিক্ষার্থীরা
- ‘বাঙালি কখনো মাথা নত করে না’
- হত্যা মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান
- নিমতলী থেকে চকবাজার আরও সচেতন হতে হবে
- ভাষার মাসে শাফিন ফ্লপ আ.লীগ নেতা খুন ও চা চক্র
- ‘বাংলা ভাষার বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- বালু উত্তোলনে ভাঙনের মুখে ফসলি জমি
- অবশেষে সেই প্রভাষকের বিরুদ্ধে মামলা
- বিশ্বকাপের সেরা বাংলাদেশ একাদশে স্থান পেলেন যারা
- প্রয়োজন নেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার, টাকা হলেই আসল সনদ!
- যে বিশেষ চিহ্নগুলো বলে দেবে দাম্পত্য জীবন কেমন যাবে
- জেনে নিন লেবু-পানির উপকারিতা
- অ্যালোভেরা জুস খেলে মিলবে যেসব উপকার
- হেরেও জিতে গেল বিএনপি!
- মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণে নতুন সিন্ডিকেট
- আগুন লাগলে নিজেকে বাঁচাবেন যেভাবে
- বিশ্ব ইজতেমা : আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করবেন কোন মাওলানা
- জিন্স প্যান্ট পরিধানে হারাতে পারেন দাম্পত্য সুখ!
- চুল লম্বা করার উপায়
- নতুন গাড়ি ফিরিয়ে দিচ্ছেন মন্ত্রীরা